ট্রিনিটি ছুটির অর্থ কী এবং এর traditionsতিহ্য

2024 লেখক: James Gerald | [email protected]. সর্বশেষ পরিবর্তিত: 2023-12-17 14:02

ট্রিনিটির ছুটি ইস্টারের সাত সপ্তাহ পরে ঘটে - পঞ্চাশতম দিনে। এই দিনটিকে পবিত্র ট্রিনিটি বা পেন্টেকোস্টের দিন হিসাবেও উল্লেখ করা হয় এবং এটি কিছু চিহ্ন, traditionsতিহ্য এবং রীতিনীতি বহন করে। 2020 সালে, ছুটি 7 ই জুন পড়ে।

এটা কিসের ছুটি

এই ছুটি কি, ট্রিনিটি, তাদের সবার জানা উচিত যারা কমপক্ষে একটু খ্রিস্টান বিশ্বাসকে মেনে চলে। এটি অর্থোডক্সির অন্যতম সুন্দর ঘটনা। প্রতি বছর এটি এমন একটি সময়ে পড়ে যখন প্রথম পাতাগুলি ইতিমধ্যেই গাছে দেখা দিতে শুরু করে। বাড়ি এবং মন্দিরগুলি বার্চ, পর্বত ছাই বা ম্যাপলের সবুজ ডাল দিয়ে সজ্জিত।

ট্রিনিটি প্রতি বছর বিভিন্ন দিনে উদযাপিত হয় এবং এর একটি নির্দিষ্ট তারিখ নেই। ইস্টারের পর পঞ্চাশতম দিনে উদযাপিত হয়। বাইবেলের তথ্য অনুসারে, এই দিনে পবিত্র আত্মা প্রেরিতদের উপর অবতীর্ণ হন। শিষ্যরা খ্রীষ্টের শিক্ষা প্রচার করার ক্ষমতা আয়ত্ত করেছিলেন।

এর ভিত্তিতে, ছুটির আরেকটি নাম হাজির হয়েছিল - পেন্টেকোস্ট বা পবিত্র আত্মার অবতরণ। রাশিয়ায় XIV শতাব্দীতে ত্রিত্বের ছুটি উদযাপন শুরু করে। তারপর থেকে, অনেক মানুষ তার রীতিনীতি এবং traditionsতিহ্য অনুসরণ করেছে। ছুটিটি রাডোনেজের সন্ন্যাসী সার্জিয়াস প্রতিষ্ঠা করেছিলেন।

ত্রিত্বের লক্ষণ এবং কুসংস্কার

ট্রিনিটির ছুটি বিভিন্ন লক্ষণ এবং কুসংস্কারের সাথে জড়িত। গির্জা পরিদর্শন করা এবং সেখানে ঘাস জ্বালানো বাধ্যতামূলক।

শাখাগুলি বিশেষভাবে আগাম শোক করা হয়েছিল, যেহেতু অশ্রু বৃষ্টির প্রতীক। তারপর ঘাস বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল এবং জানালার ফ্রেম বা আইকনের পিছনে স্তূপ করা হয়েছিল। তাই পূর্বপুরুষরা খরা ছাড়াই একটি ভাল এবং ফলপ্রসূ গ্রীষ্মের জন্য প্রকৃতি চেয়েছিলেন। ঘরের চারদিকে সবুজ ঘাস ছড়িয়ে ছিটিয়ে ছিল।

মজাদার! রাডোনিতসার লক্ষণ এবং কী করবেন না

1. ছুটির দিনে বাড়িতে বা জমিতে কাজ করা অসম্ভব ছিল। রান্নার কাজ বাদ দিয়ে যে কোন কাজকেই ভ্রুক্ষেপ করা হয়েছিল। জলাশয়ে সাঁতার কাটা অসম্ভব ছিল। এটা বিশ্বাস করা হয়েছিল যে এই দিন জলপাই জল থেকে বেরিয়ে আসে এবং একজনকে নীচে টেনে আনতে পারে।
2. ছুটির আগের শনিবারকে অভিভাবক দিবস হিসেবে বিবেচনা করা হয়। এই দিনটি যখন আপনার কবরস্থানে যেতে হবে এবং মৃত আত্মীয়দের স্মরণ করতে হবে।
3. এটা বিশ্বাস করা হয়েছিল যে যদি কোন ব্যক্তি তার মৃত প্রিয়জনের কবরে না যায়, তবে সে মৃত ব্যক্তিকে ডাকে, যিনি এসে পরিবারের একজনকে তার সাথে নিতে পারেন। এর মানে হল যে অদূর ভবিষ্যতে কেউ মারা যেতে পারে।
4. ছুটির আগে, একটি স্মারক নৈশভোজের ব্যবস্থা করার প্রথা ছিল। মৃতের কাপড় বেড়ার উপর ঝুলিয়ে রাখা হয়েছিল যাতে এই ধরনের কর্মের মাধ্যমে মৃত্যুকে তাদের বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেওয়া যায়।
5. বয়স্ক মহিলারা কবর দিয়ে হেঁটে গিয়ে তাদের বার্চের মালা দিয়ে ভাসিয়ে দিলেন। এটি মন্দ আত্মাকে তাড়িয়ে দিতে এবং প্রয়াতকে আনন্দিত করতে সাহায্য করেছিল, যারা সমস্ত জীবিত বস্তুকে শান্তি, সম্পদ এবং সমৃদ্ধি প্রদান করে।
6. ট্রিনিটির জন্য একটি ভাল শঙ্কা হল বিয়ে করা। এছাড়াও, যদি আপনিও পোকারভের সাথে বিয়ে করেন, তবে নতুন তৈরি স্বামী-স্ত্রীদের পারিবারিক জীবন অবশ্যই দীর্ঘ এবং সুখী হবে।
7. ছুটির জন্য বৃষ্টি হল লক্ষণ - একটি ভাল ফসল, একটি উষ্ণ গ্রীষ্ম এবং প্রচুর পরিমাণে মাশরুমের জন্য।

আরেকটি traditionতিহ্য: প্রফুল্লতা দিবসে ট্রিনিটির পর সোমবার, পৃথিবীতে কাজ করা অসম্ভব ছিল। সকালে গুপ্তধনের সন্ধানে যাওয়ার রেওয়াজ ছিল। এটা বিশ্বাস করা হয়েছিল যে এই দিনে কিছু পাওয়া যাবে।

প্রথা ও আচার -অনুষ্ঠান

যেহেতু মারমেইডরা ট্রিনিটিতে জেগেছিল, তাই গ্রামে একটি স্টাফড মারমেইড তৈরি করার এবং এর চারপাশে একটি গোল নৃত্য করার প্রথা ছিল। এর পরে, এটি টুকরো টুকরো হয়ে মাঠে ছড়িয়ে পড়েছিল।

অন্যান্য আচার অনুষ্ঠানও ছিল। তাই, মৎসকন্যা থেকে পালানোর জন্য, মহিলারা, ঘুমানোর আগে, তাদের হাতে ঝাড়ু নিয়ে গ্রামের চারপাশে দৌড়ায়। মেয়েদের একজনকে মৎসকন্যা হিসেবে সাজিয়ে শস্যক্ষেত্রে ফেলে দেওয়ার প্রথা ছিল। উপস্থিত সকলকে অবিলম্বে বাড়ি পালিয়ে যেতে হবে।

ছুটির জন্য সমস্ত traditionsতিহ্য এবং আচারের উদ্দেশ্য ছিল তাদের বাড়ি থেকে মন্দ আত্মাকে তাড়িয়ে দেওয়া। আরেকটি কিংবদন্তি অনুসারে, এই দিনে এক জলের মানুষ জেগে উঠল। তাকে পরিত্রাণ পেতে, গ্রামবাসীদের উপকূলে আগুন জ্বালানোর প্রথা ছিল।

ট্রিনিটিতে, বাড়িগুলি ম্যাপেল, বার্চ, রোয়ান, ওক শাখা দিয়ে সজ্জিত ছিল।এটা বিশ্বাস করা হয়েছিল যে এই অনুষ্ঠানটি মানুষকে রক্ষা করতে এবং তাদের স্বাস্থ্য দিতে সাহায্য করবে।

পেন্টেকোস্টে, একটি গির্জা পরিদর্শন করা, উজ্জ্বল আবেগ অনুভব করা, আপনার পরিবারের সাথে সময় কাটানো বা পরিদর্শন করা এবং কিছু আনন্দদায়ক এবং সদয় কাজ করা ভাল।

মজাদার! ধন্য ভার্জিন মেরির অনুমানের সমস্ত লক্ষণ

ট্রিনিটিতে কি করবেন না

ট্রিনিটির উপর অনেক লক্ষণ এবং রীতি পালন করা হয় তা ছাড়াও, নিষিদ্ধ কর্মও রয়েছে। ছুটির দিনে আপনি যা করতে পারবেন না তা এখানে:

1. একটা বিয়ের খেলা। আপনি বিয়ে করে বিয়ে করতে পারবেন না। পেন্টেকোস্টে বিয়ে করলেই পারিবারিক জীবনে দুর্ভাগ্য আসবে।
2. সেলাই করা, বাগানে কাজ করা, বেক করা। অন্যান্য প্রধান খ্রিস্টান ছুটির মতো, এই ক্রিয়াকলাপগুলি নিষিদ্ধ।
3. কাজ। ছুটি সেই সময়ের সাথে মিলে যায় যখন সমস্ত কাজ শেষ হয়, ফসল তোলার প্রস্তুতি শুরু হয়। যারা পেন্টেকোস্টে বিশ্রাম নেয় না তারা দুর্বিষহ এবং সমস্যায় পড়বে। যারা জমি চাষ করে তারা তাদের গবাদি পশু হারাবে। যিনি বপন করেন, শিলাবৃষ্টি সমস্ত গাছপালা নষ্ট করে দেয়, এবং যে পশম তৈরিতে নিযুক্ত থাকে - সে তার ভেড়া হারাবে।
4. জঙ্গলে বা মাঠে হাঁটুন, পশু চারণ করুন। মানুষ বিশ্বাস করত যে এই দিনে জলদস্যু এবং মাকের মতো পৌরাণিক প্রাণীরা পৃথিবীতে আসে।

ট্রিনিটির পরের দিন হল সেই দিন যখন আপনি জমিতে কাজ করতে পারবেন না, কিন্তু আপনি গুপ্তধনের সন্ধানে যেতে পারেন। এই দিনটিকে পৃথিবীর নাম দিবস হিসাবে বিবেচনা করা হয় এবং একজন ব্যক্তি অবশ্যই মূল্যবান কিছু খুঁজে পাবেন।

ভাগ্য বলা এবং ষড়যন্ত্র

গির্জার ক্যানন অনুসারে, অনুমান করা অসম্ভব ছিল, কিন্তু এটি মানুষকে থামায়নি, এবং অনেক মেয়ে তাদের ভাগ্য সম্পর্কে, তাদের বিবাহ বন্ধনের বিষয়ে বিস্মিত হয়েছিল এবং ম্যাচমেকারদের আগমনের জন্য অপেক্ষা করেছিল।

একটি বার্চ গাছ কার্লিং

সবচেয়ে সাধারণ ভাগ্য বলার একটি হল পুষ্পস্তবক-বয়ন। ছুটির প্রাক্কালে, মেয়েরা বনে গিয়ে তরুণ বার্চের চূড়ায় পুষ্পস্তবক অর্পণ করে। যদি ত্রিত্বের উপর পুষ্পস্তবক ফুলে বা শুকিয়ে যায়, তাহলে সমস্যা হবে, এবং যদি কিছু পরিবর্তন না হয়, এটি একটি বিবাহ এবং প্রেম এবং সম্পদে একটি সুখী বিবাহের জন্য।

পুষ্পস্তবক বুনন

মেয়েদের সঙ্গের মধ্যে পুষ্পস্তবক বুনতে এবং পুরুষদের কাছে তাদের সৃষ্টি না দেখানোর রীতি ছিল। পুরুষ অর্ধেকের কেউ যদি পুষ্পস্তবক দেখেন, এটি একটি খারাপ অশুভ বলে বিবেচিত হয়।

পুষ্পস্তবক নিয়ে নদীতে যাওয়ার এবং পানির উপর রাখার প্রথা ছিল:

• পুষ্পস্তবকটি কোন দিকে ভেসে উঠল, সেখান থেকে বিবাহ বন্ধন আসবে;
• যদি পুষ্পস্তবক তীরে থাকে, তাহলে মেয়েটি অবিবাহিত থাকবে;
• যদি আপনি নীচে যান - এটি মেয়েটির মৃত্যু।

আপনার হাত দিয়ে জলে পুষ্পস্তবক নামানো অসম্ভব ছিল। মেয়েটিকে এটি তার মাথায় রেখে নদীর দিকে বাঁকতে হয়েছিল যাতে সে নিজেই পড়ে যায়।

প্রাচীনকাল থেকে, বিশ্বাসীরা ট্রিনিটি ষড়যন্ত্র ব্যবহার করে তাদের পরিবারকে সমস্ত দুর্ভাগ্য থেকে রক্ষা করে। ছুটির দিনে, আপনাকে গির্জা পরিদর্শন করতে হবে এবং প্রার্থনা "স্বর্গীয় রাজা" পড়তে হবে, নতজানু প্রার্থনা করতে হবে।

সংক্ষেপে

1. উজ্জ্বল রবিবারের পর পঞ্চাশতম দিনে ট্রিনিটি উদযাপন করা হয়, এবং এর দ্বিতীয় নাম - পেন্টেকোস্ট। 2020 সালে, এই দিনটি 7 ই জুন পড়ে।
2. ছুটির দিনটি অনেক traditionsতিহ্য, আচার এবং রীতিনীতিতে পরিপূর্ণ। এটা বিশ্বাস করা হয়েছিল যে এই দিনে মারমেইড এবং অন্যান্য মন্দ আত্মা জলাধার থেকে বেরিয়ে আসে, যা দুর্ভাগ্য আনতে সক্ষম। লোকেরা তাদের থেকে সম্ভাব্য সব উপায়ে নিজেদের রক্ষা করেছিল: তারা নদীর ধারে আগুন জ্বালাত, ঝাড়ু দিয়ে গ্রামের চারপাশে দৌড়াত এবং গাছের ডাল দিয়ে ঘর সাজাত।
3. গির্জার নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও, ট্রিনিটির উপর মেয়েরা তাদের ভাগ্য এবং তাদের বিবাহ সম্পর্কে বিস্মিত হয়েছিল: তারা পুষ্পস্তবক বুনত এবং জলে নামিয়ে দেয়। অসুস্থতা, খারাপ আবহাওয়া এবং ঝামেলা থেকে নিজেকে এবং আপনার পরিবারকে রক্ষা করার জন্য ষড়যন্ত্র পড়ার প্রথা ছিল।